Wednesday, April 1, 2015

বিক্রমপুরের বিবিখানা পিঠা

আজ পিঠাপুলির আয়োজনে থাকছে বিক্রমপুরের বিবিখানা পিঠা। যদিও পিঠা বাংলাদেশের নিত্যদিনের খাবার নয়। বিভিন্ন উৎসব-আয়োজনে করা হয় হরেক রকম স্বাদের পিঠাপুলি। তবে বিক্রমপুরের বিবিখানা পিঠা আপনি তৈরী করতে পারেন বছরের যেকোন সময়ে।

বিক্রমপুরের বিবিখানা পিঠা

উপকরন :
পোলাওয়ের চালের গুঁড়া ১ কাপ, নারিকেল কোরা ১ কাপ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, খেজুরের গুড়/চিনি ১ কাপ, ডিম ২টি, ঘি কোয়ার্টার কাপ, ঘন দুধ ১ কাপ, এলাচের গুঁড়া আধা চা চামচ।

প্রনালী:
চালের গুঁড়া শুকনা কাঠখোলায় টেলে নিন। ডিম ফেটিয়ে ঘি, দুধ, চিনি দিয়ে ফেটান। এর সাথে অন্যান্য উপকরণ দিয়ে মেখে নিন। খুব ভালোভাবে মাখুন। ওভেন প্রুফ বাটিতে তেল মেখে মিশ্রণ ঢালুন। ইলেকট্রিক ওভেন প্রিহিট করে ১৬০ ডিগ্রি তাপে ৩৫-৪০ মিনিট বেক করুন। ঠাণ্ডা হলে স্লাইস করে কেটে পরিবেশন করুন।

বিবিখানা পিঠা


চুলায় বেক করতে হলে মাঝারি আঁচে তাওয়ায় বালু দিয়ে ৪০-৪৫ মিনিট রান্না করুন বা মাটিতে গর্ত করে কাঠকয়লার আগুনের ভেতর বাটি বসিয়ে ৩৫-৪০ মিনিট বেক করে নিন। ভাপেও সিদ্ধ করে নিতে পারেন পুডিংয়ের মতো।

source: http://thetimesinfo.com/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%AA%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%87/

Tuesday, March 31, 2015

অত্যন্ত মুখরোচক মুখ শৈলী পিঠা

আজ এসেছি অত্যন্ত মুখরোচক মুখ শৈলী পিঠার রেসিপি নিয়ে।এই পিঠাটি বলতে গেলে একটি হারিয়ে যাওয়া পিঠা। এখন আর খুব একটা দেখা যায়না। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, আশা করি সবাই বানাবেন আর প্রায় হারিয়ে যাওয়া একটি পিঠাকে বাচিঁয়ে রাখবেন।
mukhshoili pitha-মুখ শৈলী পিঠা

উপকরনঃ
চালের গুড়া ২ কাপ
খেজুর গুড় ২ টে চামচ
লবন ১/২ চা চামচ
দুধ ১ লিটার
চিনি ১টে চামচ
চালের গুড়া ১ টে চামচ
পিঠার ছাঁচ
তেলে ভাজার জন্য
প্রণালীঃ প্রথমে একটি হাঁড়িতে ১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে নিন, দুধ ঘন হলে তাতে চিনি দিয়ে দিন । ঘন ঘন নাড়তে থাকুন , দুধ ঘন হয়ে ১ কাপ পরিমান হলে ১ টে চামচ চালের গুড়া সামান্য পানিতে গুলে দুধে দিয়ে দিন । ঘন ঘন নাড়তে থাকুন, ক্ষীর ঘন হলে নামিয়ে নিন ।

চুলায় একটি হাড়িতে পরিমাণমতো পানি গরম করুন, পানিতে চালের গুড়া, লবন আর গুড় দিয়ে পিঠার কাই তৈরি করে নিন। পিঠার কাই ভালো করে ময়ান করে নিন । এবার ছাঁচের ভিতর কাই দিয়ে ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে ছাঁচের সব দিক মুড়ে নিন । ছাঁচের অন্য অংশটিও কাই দিয়ে মুড়ে নিই, এবার ভিতরে ক্ষীর দিয়ে দুটো ছাঁচ একসাথে লাগিয়ে পিঠার কিনার মুড়ে নিন। এবার সাবধানে পিঠাটি ছাঁচ থেকে বের করে নিন । পিঠার কিনার আবার একটু মুড়ে নিতে পারেন। এভাবে সবগুলো পিঠা বানানো হলে ডুবো তেলে ভেজে নিন। ঠান্ডা বা গরম যে কোন ভাবেই পরিবেশন করতে পারবেন।

Source: https://www.facebook.com/pages/Myhomecooking/311968535662828

মজাদার পিঠা-পুলির বাহার

শীতের পিঠা-পুলি বাঙালির আদি খাদ্যসংস্কৃতির অংশ। বাংলার চিরায়ত লোকজ খাদ্যসংস্কৃতিতে পিঠা-পায়েস একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। প্রতিবছরই শীতকালে দেশজুড়ে পিঠা তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে ধুম পড়ে যায় পিঠা বানানোর।

শীতের পিঠা-পুলি-ভাজা পুলি


কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বা সন্ধ্যায় গাঁয়ের বধূরা চুলোর পাশে বসে পিঠা তৈরিতে কাটান ব্যস্ত সময়। অতিথি বিশেষ করে জামাইদের দাওয়াত করে পিঠা খাওয়ানো হয়। গ্রামের পাশাপাশি শহরেও পাওয়া যায় শীতের পিঠার সুবাস। রাস্তায় রাস্তায় পিঠা বানিয়ে বিক্রি করেন বিক্রেতারা।
শতাধিক ধরনের পিঠার প্রচলন রয়েছে বাংলাদেশে। কালের গভীরে কিছু হারিয়েও গেছে। কিছু আবার নতুন আঙ্গিকে তৈরির পর পরিবেশিত হচ্ছে।


বাংলাদেশের একেক অঞ্চলে রয়েছে একেক রকম পিঠা। দেশের উত্তরাঞ্চলে পিঠার যে ধরন, তার থেকে আলাদা ধরনের মধ্যাঞ্চলের পিঠা। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের পিঠা কিংবা পূর্বাঞ্চলের পিঠার মধ্যেও রয়েছে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য। আবার একই পিঠা একেক এলাকায় একেক নামে পরিচিত! যেমন তেল পিঠাকে উত্তরবঙ্গের অনেক এলাকায় বলে পাকান পিঠা। বাংলাদেশে ১৫০ বা তার বেশি রকমের পিঠা থাকলেও মোটামুটি ৩০ ধরনের পিঠা বেশি প্রচলিত। ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই পিঠা, দোল পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, পাকান, আন্দসা, কাটা পিঠা, ছিটা পিঠা, গোকুল পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, বিবিখানা, চুটকি, চাঁদ পাকান, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পুলি, পানতোয়া, মালপোয়া, মেরা পিঠা, মালাই, কুশলি, ক্ষীরকুলি, গোলাপ ফুল, লবঙ্গ লতিকা, ঝালপোয়া, ঝুরি, ঝিনুক, সূর্যমুখী, নারকেলি, সিদ্ধপুলি, ভাজা পুলি, দুধরাজ ইত্যাদি কত কত ধরনের যে পিঠা!

শীতের পিঠা-পুলি-চিতই পিঠা


চালের গুঁড়া, নারকেল, খেজুরের গুড় দিয়ে বানানো হয় ভাপা পিঠা। গোল আকারের এ পিঠা পাতলা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ঢাকনা দেয়া হাঁড়ির ফুটন্ত পানিতে ভাপ দিয়ে তৈরি করা হয়। এ কারণেই এর নাম ভাপা পিঠা। গুড় গোলানো চালের আটা তেলে ছেড়ে দিয়ে যে পিঠা তৈরি করা হয়, তার নাম তেল পিঠা। চালের গুঁড়া পানিতে গুলিয়ে মাটির হাঁড়িতে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হয় চিতই পিঠা। অতি সাধারণ এই পিঠাটি গুড় বা ঝাল শুঁটকি ভর্তা দিয়ে খেতে খুবই মজা। এই চিতই পিঠাকেই সারা রাত দুধে বা গুড়ের রসে ভিজিয়ে তৈরি দুধ চিতই বা রস পিঠা। আরেকটি চমত্‍কার পিঠা হলো নকশি পিঠা। এই পিঠার গায়ে বিভিন্ন ধরনের নকশা আঁকা হয় বা ছাঁচে ফেলে পিঠাকে নানা রকম নকশার আদলে তৈরি করা হয় বলেই এ পিঠার এমন নাম। নকশি পিঠা তৈরির জন্য প্রথমে আতপ চালের গুঁড়া বা আটা সেদ্ধ করে মণ্ড তৈরি করা হয়। এই মণ্ড বেলে মোটা রুটির মতো তৈরি করে তার ওপর চাঁদ, তারা, মাছ, গাছ, ফুল, লতাপাতা ইত্যাদির নকশা করা হয়। হাতের বদলে ছাঁচ দিয়ে পিঠাতে নকশা আঁকা হয়। ছাঁচগুলো সাধারণত মাটি, পাথর, কাঠ বা ধাতু দিয়ে তৈরি হয়। এসব ছাঁচের ভেতর দিকে নকশা আঁকা থাকে। রস পাকান তৈরি হয় শুকনো সুজি, ডিম আর চিনি দিয়ে। সারা দেশেই কুলি পিঠা বেশ জনপ্রিয়।

শীতের পিঠা-পুলি-পাটিসাপটা পিঠা


গুড় দিয়ে তৈরি হালকা বাদামি অথবা চিনির তৈরি সাদা রঙের পাটিসাপটা আরেকটি সুস্বাদু পিঠা। পাটিসাপটা শুধু শীতকালেই নয়, আজকাল সারা বছরই বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানে পাওয়া যায়। মালপোয়া আর ঝিকিমিকি পিঠা বানানো হয় চালের গুঁড়া আর চিনি দিয়ে। নকশি পিঠার মতো দেখতে ফুল পিঠা। কিন্তু নকশি পিঠার চেয়ে কিছুটা নরম হয় এই পিঠা। শীতকালে বিভিন্ন ধরনের পিঠার সঙ্গে পায়েস ও ক্ষীরেরও রয়েছে অন্য রকম আবেদন।

গ্রামাঞ্চলে শীতের পিঠা তৈরিকে যেমন উত্‍সব হিসেবে গণ্য করা হয় সে তুলনায় শহরে খুব কমই চোখে পড়ে পিঠা-পুলির বাহার। তবে ইদানীং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত শীতের পিঠা উত্‍সব সাড়া ফেলে দেয় শহুরে জীবন। এছাড়া শহরের পথে-ঘাটে বা ফুটপাতে পিঠা কেনাবেচা হয় পুরো শীতকালজুড়েই।
Source: http://www.priyo.com/2014/01/06/s47992.html

Tuesday, March 3, 2015

সিলেটি নুনগড়া পিঠা বা নোনতা পিঠা

আজ এসেছি সুরঞ্জনা আপুর নুনগড়া পিঠা বা নোনতা পিঠার রেসেপি নিয়ে। যেহেতু আমিও সিলেটে বড় হয়েছি, তাই এই পিঠা আমারও খুব পরিচিত। গরম গরম নুনগড়া পিঠা চায়ের সঙ্গে খেতে আসলেই বেশ চমৎকার লাগে। চলুন তবে নুনগড়া পিঠার রেসিপি জেনে নেই সুরঞ্জনা আপুর কাছ থেকেই।

নুনগড়া পিঠা


nungora pitha- sylheti pitha

সিলেটে যখন প্রথম এসেছিলাম তখন আমার বয়স আট। তখন দেখেছি ঈদ-পার্বন বা শীতকালে সিলেটে ৪টি পিঠাই খুব বেশী চলতো। হান্দেস ( তেলের পিঠা/পোয়া পিঠা ) পব ( নারিকেলের ভাজা পুলি ) ছই পিঠা ( ম্যারা/মুইঠ্যা পিঠা ) আর নুনগড়া মানে নোনতা পিঠা। অন্যান্য কোনো পিঠার প্রচলন তেমন চোখে পড়েনি। নুনগড়া বা নোনতা পিঠা খেতে কিন্তু ভালোই লাগে। এই পিঠা আপনি ফ্রীজে রেখেও খেতে পারবেন। বা ঘরে মেহমান এলে চট করে ভেজে দিতে পারবেন। কি ভাবে বানাবেন এই পিঠা তা দেখে নেই।

চালের গুড়িঃ ২ কাপ, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, কাঁচামরিচ কুচি আপনার পছন্দ মত। না দিলেও চলে। ধনেপাতা কুচিও ইচ্ছেমত, লবন পরিমান মত। ভাজার জন্য তেল।

nungora pitha- sylheti pitha


প্রথমে চুলায় কাইএর পানি বসিয়ে তাতে লবন, পেঁয়াজবাটা, আদাবাটা, সামান্য হলুদ ও পরিমান মত লবন দিন। পানি ফুটে উঠলে চালের গুড়ি দিয়ে ভালো করে সিদ্ধ করে কাই তৈরী করুন। ভালো করে মথে নিন। আর মথবার সময় কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা কুচি দিন। ৪টা বড় গোলা তৈরী করে একেকটা গোলা দিয়ে ভারী, মোটা রুটি তৈরী করুন। একটি স্টিলের গ্লাস বা গোল শেপের কোন কাটার দিয়ে গোল গোল করে রুটি কেটে নিন। ভিন্ন শেপের হলেও দেখতে ভালো হবে। কাটার পর রুটি থেকে বাড়তি টুকরো যেগুলো বের হবে তা দিয়েও আবার রুটি বেলে পিঠার আকৃতি বের করে নিন। সব রুটি বেলা হলে আপনার প্রয়োজন মত গরম ডুবো তেলে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন। বাকিগুলো তাওয়াতে হালকা করে সেঁকে একটি এয়ার টাইট বক্সে ভরে ডীপ ফ্রীজে রেখে দিন। প্রয়োজন মত বের করে ভেজে নিতে পারবেন।

Source: https://suronjona.wordpress.com/2013/02/07/%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A6%BE/

Monday, March 2, 2015

মজাদার সুজি পিঠা -রসমাধুরী

চলুন, আজ জেনে নিই আতিয়া আমজাদের কাছ থেকে আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী সুজি পিঠা রসমাধুরী তৈরির পদ্ধতি। আজকালকার ব্যস্ত জীবনে কার এত সময় আছে দীর্ঘক্ষণ ধরে শখের পিঠা তৈরির? অবশ্য সময় নেই বলে রসনা বিলাস তো আর থেমে থাকতে পারে না। তাই সকল রাঁধুনিই খুঁজে থাকেন অল্প সময়ে সুস্বাদু খাবারের রেসিপি। “রসমাধুরী” তেমনই একটি পিঠা যা তৈরি করা যায় অল্প উপাদানে এবং অল্প সময়ে।

সুজি পিঠা রসমাধুরী

 

suji pitha-rashmadhuri

 

উপকরণঃ
পিঠার জন্য লাগবে-
তরল দুধ – ১ লিটার
গুঁড়ো দুধ – ৩ টে চামচ
চিনি – ৬ টে চামচ
ঘি- ১ চা চামচ
তেল – ১ কাপ
সুজি – প্রয়োজন মত
পেস্তা বাদাম – ১/২ কাপ

সিরার জন্য লাগবে-
চিনি – ১/২ কাপ
পানি – ১ কাপ
তেজপাতা,এলাচ,দারচিনি – ১ বা ২ পিস করে

প্রনালি:

-পেস্তা বাদাম গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন, নরম হয়ে গেলে খোসা ছিলে কুচি করে রাখুন।
-হাঁড়িতে দুধ জ্বাল দিন ও সাথে তেজপাতা ও দারচিনি দিয়ে দিন।
-দুধে বলক এলে তেজপাতা ও দারচিনি তুলে নিন। এবার গুঁড়ো দুধ ও চিনি মিশিয়ে দিন। মিষ্টি যার যার স্বাদ অনুযায়ী বাড়িয়ে-কমিয়ে নিতে পারেন।
-এবার আস্তে আস্তে দুধে সুজি ঢালুন ও মিশিয়ে নিন এবং এভাবে আটার কাই এর মত করে কাই বানিয়ে নিন।
-কাই ঠান্ডা হলে হাতের তালুতে ঘি মেখে সুজির গোল গোল বল বানিয়ে নিন ভিতরে বাদাম কুচির পুর দিয়ে। চাইলে ছাঁচে দিয়ে নকশাও করতে পারেন।
-কড়াইতে তেল যথেস্ট গরম করে নিন এবং তার পর কম আঁচে সুজির বল গুলো ভেজে তুলুন।
-আরেকটি হাঁড়িতে পানি ও চিনি মিশিয়ে শিরা বানিয়ে রাখুন।
-শিরায় ২ টুকরা এলাচ দিয়ে জ্বাল দিন কিন্তু শিরা যেন ঘন না হয়ে যায়। পাতলা শিরা হবে।
-এবার সুজির বল গুলি শিরায় দিয়ে ১০/১৫ মিনিট অল্প আঁচে ঢেকে দিন।
-এবার সার্ভিং ডিশে সার্ভ করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুক এবং ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।

Source: http://bangla.rupcare.com/সুজি-দিয়ে-ঝটপট-তৈরি-করুন-দ/

Sunday, March 1, 2015

ভাপা পিঠার রকমফের

আচ্ছা, ভাপা পিঠা আপনি কত রকমের খেয়েছেন? সেই যে, গুড় আরা নারিকেল মেশানো ভাপা পিঠা, ওটা আমরা সবাই খেয়েছি, কিন্তু ঝাল সব্জির ভাপা পিঠা কিংবা নোনতা স্বাদের ভাপা পিঠা ! খেয়েছেন কি ? শীতের সকাল কিংবা বিকেল ভাপা পিঠা ছাড়া যেন চলেই না, তাই বলে কি কেবল শীতেই খেতে হবে? না, খেতে পারেন এখনও, আর ভাপা পিঠার পুর এ নিয়ে আসতে পারেন বৈচিত্র। আজ আসছি ঝাল এবং মিস্টি দুটো ভিন্ন স্বাদের ভাপা পিঠার রেসিপি নিয়ে

ফ্রুটি ভাপা পিঠা

 

fruti vapa pitha

 


ফ্রুটি ভাপা পিঠা ? হয়তো এই খাবারটি আপনাদের কারো খেয়ে দেখা হয়নি। একদম ভিন্ন স্বাদের এই ভাপা পিঠা কোন কেকের চাইতে স্বাদে কম নয় একটুও। বরং অনেক বেশি সুস্বাদু। অনেকে একে শাহী ভাপা পিঠাও বলেন। আসুন, জেনে নিই সহজ রেসিপি।

উপকরণ: 
সিদ্ধ চালের গুঁড়ো ২ কাপ,
ভেঙে নেওয়া তাজা খেজুরের গুড় ১ কাপ
নারিকেল কোরানো ১ কাপ,
লবণ স্বাদমতো
কিসমিস, শুকনো চেরি ও নানান রকম বাদাম কুচি ইচ্ছামত
ভ্যানিলা বা লেমন ফ্লেভার সামান্য

প্রণালি:
-চালের গুঁড়িতে লবণ মিশিয়ে হালকা করে পানি ছিটিয়ে ঝুরঝুরে করে মেখে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যেন দলা না বাঁধে। সামান্য ভ্যানিলা বা লেমন ফ্লেভার মিশিয়ে মেখে নিন। এবার বাঁশের চালনিতে চেলে নিন সুন্দর করে।
-ভাপা পিঠা বানানোর হাঁড়িতে পানি দিন। এবার মুখ ছিদ্র ঢাকনা বসিয়ে আটা দিয়ে আটকে দিন। যাতে বাষ্প বের হতে না পারে। চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিন। পানি টগবগ করে ফুতলে তবেই পিঠা দেবেন।
– পাতলা সুতার দুই টুকরা কাপড় ও ছোট দুটি বাটি নিন আপনার পছন্দ মত।
-এবার বাটিতে প্রথমে চেরি ও কিসমিস সাজিয়ে দিন। তারওপরে চালা চালের গুঁড়ি দিয়ে মাঝখানে গর্ত করে গুড় ও নারিকেল দিন। বাদাম দিতে চাইলে দিয়ে দিন। আবার চালের গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে দিন।
-এবার এক টুকরা পাতলা সুতির কাপড় ভিজিয়ে পিঠার বাটি ঢেকে উল্টে মুখ ছিদ্র ঢাকনার ওপর পিঠা রেখে সাবধানে বাটি খুলে পিঠা ঢেকে দিন।
-সিদ্ধ হলে পিঠা উঠিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। আপনি চাইলে যে কোন শেপের ছাঁচে এই পিঠা তৈরি করতে পারেন। গুঁড়ি ভালো হলে পিঠা ভাঙবে না।

টিপস:
ভাপা পিঠা তাজা গুঁড়ি করে বানালে ভালো হয়। এতে পিঠা অনেক বেশি মোলায়েম হয়। শুকনা গুঁড়ি দিয়ে বানালে অনেকক্ষণ আগে গুঁড়ি পানি ছিটা দিয়ে রেখে পরে বাঁশের চালানিতে চেলে নেবেন।

ঝাল সবজি ভাপা পিঠা

vegetable vapa pitha

উপকরণ : ভাপা পিঠার চালের গুঁড়া। ধনেপাতা কুচি ১ কাপ। পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ। কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল-চামচ। গাজর ৩/৪ কাপ। লবণ সামান্য।
পদ্ধতি : ভাপা পিঠার নিয়মে চালের গুঁড়া ও পিঠার তৈরির হাঁড়ি তৈরি করে নিন। ধনেপাতা পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ কুচি সামান্য লবণ দিয়ে মাখুন। ভাপা পিঠার নিয়মে চালের গুঁড়া ভেতরে ধনেপাতার পুর ভরে পিঠা বানিয়ে নিন। ভাপা পিঠার মতোই ভাপে পিঠা তৈরি করুন। এই পিঠা ভুনা মাংসের সঙ্গে গরম গরম খেতে মজা।